১) অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস হয় ?
মিষ্টি খাবার খেয়ে ডায়াবেটিস হয় না ।ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা শরীরে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন কম হওয়া অথবা ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য হয় ।মিষ্টি খাবার খাওয়ার ফলে যদিও ডায়াবেটিস হয় না তবে চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার স্থূলত্বের কারণ হতে পারে যা টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
২)ডায়াবেটিস রোগীদের ভাত খাওয়া যাবে ?
ভাত বেশী পরিমানে একবারে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে । তাই ভাত অল্প পরিমানে দু বাড়ে ভাগ করে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে পরিমান বোঝার জন্য সকালে ১০ টার মধ্যে নিজের হাতের এক মুঠো আর দুপুরে ২ টোর মধ্যে দু মুঠো ভাত খাওয়া যেতে পারে ।
৩) ডায়াবেটিসে ইনসুলিন শুরু হওয়া মানে কি রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ?
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন তৈরি হয় না তাই ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেওয়া অপরিহার্য ।টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার উপর নির্ভর করে মেডিসিন, ইনসুলিন ইঞ্জেকশন অথবা দুটো একসাথে প্রয়োগ করা হয় । ইনসুলিন শুরু হওয়া মানে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় ।
৪) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকেরা কি অন্ধ হয়ে যায় এবং পা হারায় ?
ডায়াবেটিস অন্ধত্ব ও অঙ্গহানির একটি প্রধান কারণ তবে রক্তচাপ, গ্লুকোজের মাত্রা, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখলে এই জটিলতা এড়ানো যায় । ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের বেশিরভাগ লোক অন্ধত্ব এবং অঙ্গহানি এড়াতে পারবেন, বিশেষত যদি প্রতিবছর বার্ষিক ডায়াবেটিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
৫ ) ডায়াবেটিসে একেবারে খুব কম খেলে কি গ্লুকোজ তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ হবে ?
অনেকসময় রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডায়াবেটিস রোগী অনেক কম খায় বা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকেন । এতে ফ্যাট, মাংসপেশীর প্রোটিন ভেঙে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে এবং শরীর রুগ্ন হয়ে যেতে পারে । তাই ডায়াবেটিসে চার ঘন্টা অন্তর খাবার অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত ।