আইবিএস (IBS – Irritable Bowel Syndrome) হল পরিপাকতন্ত্রের একটি সমস্যা যেখানে অনেকগুলো উপসর্গ থাকে যেমন পেটে খিল ধরে ব্যথা, অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া, খাবার হজম না হওয়া, পেট ফেঁপে যাওয়া, ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য । এই লক্ষণগুলো যদি ছয় মাসের বেশি সময় ধরে থাকে এবং মাসে কমপক্ষে তিন বার হয় তাহলে আইবিএস হতে পারে ।
আইবিএসের সঠিক কারণ অজানা । পরিপাকতন্ত্রের অস্বাভাবিক সংকোচন প্রসারনের জন্য এই সমস্যাটি সাধারণত হয় ।এটি কয়েক ধরণের হতে পারে যেমন ডায়ারিয়া যুক্ত আইবিএস ( IBS – D), কোষ্টকাঠিন্যযুক্ত আইবিএস ( IBS – C) অথবা দুই ধরণের মিশ্রণ ( IBS – Mixed) |
আইবিএসের কোনো নিৰ্দিষ্ট চিকিৎসা নেই কিন্তু কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আইবিএস কমানো যায় । এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন ।আইবিএসে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন খাবারে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানায় ।
কিছু খাবার যেগুলো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে সেগুলো হল —
১. হোল গ্রেইন চালের ভাত ।
২. ফল, শাক সবজি ।
৩. পরিমাণমত জল কমপক্ষে তিন লিটার সারাদিনে ।
৪. কম চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মাছ, ডিম, মুরগির মাংস ।
এই খাবারগুলো কমান অথবা বাদ দিন —
১. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
২. রুটি বা গম,জব,বার্লি থেকে তৈরি যেকোন খাবার
৩. কিছু সবজি যেগুলো গ্যাস বাড়ায় যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি
৪. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবার
৫. চা, কফি, এলকোহল, ধূমপান
৬. বাদাম
৭. মিষ্টি
খাবার অল্প পরিমাণে চার ঘন্টা অন্তর খান ।যে খাবারগুলো খেলে আইবিএস বাড়ে সেগুলোর রেকর্ড রাখুন এবং তিন মাস বন্ধ রেখে দেখুন কোনো উন্নতি হচ্ছে কিনা ।আইবিএসে দুশ্চিন্তা করবেন না । দুশ্চিন্তা বাড়লে এই সমস্যাটি আরো বাড়ে । তাই মনকে যতটা সম্ভব শান্ত রাখুন – কাজের চাপ কমান বা যোগ ব্যায়াম করুন ।
Source : https://www.drdsarkar.com/diet-for-ibs-irritable-bowel-syndrome/